সাগরকন্যা কুয়াকাটায় এখন পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়। খালি নেই হোটেল, মোটেল ও কটেজের কোনো কক্ষ। দূরদূরান্ত থেকে আসা পর্যটকদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে খাবার দোকানের সামনে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে হোটেল মালিকরা খাবারের অতিরিক্ত দাম ও বাড়তি ভাড়া নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন পর্যটকরা।
তবে বাড়তি টাকা নিলে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।
দক্ষিণ এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহৎ সমুদ্র সৈকত কুয়াকাটা। এই সমুদ্র সৈকত থেকে দেখা যায় সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত। সেই টানে ছুটে এসেছেন দেশি বিদেশি পর্যটকরা। কিছুদিন আগে সরকারি জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করায় ভাঙা পড়েছে শতাধিক হোটেল। যার ফলে সরকারি এই ছুটির দিনে চরম সংকট দেখা দিয়েছে হোটেলের। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে অন্য হোটেল মোটেলগুলোতে পর্যটকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকে মিলছে না খাবার। আবাসিক হোটেলগুলোতে অন্য দিনের তুলনায় ভাড়া নেওয়া হচ্ছে তিনগুন।
হোটেল মালিকরা জানান, পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় বেড়েছে পর্যটক সংখ্যা। এ সংকট মোকাবেলায় উচ্ছেদ করা ফাঁকা জায়গায় সরকারিভাবে গেস্ট হাউজ নির্মাণের বিকল্প নেই।
পর্যটকদের নিরাপত্তায় কাজ করছে ট্যুরিস্ট পুলিশ ও মহিপুর থানা পুলিশের কয়েকটি ইউনিট। বাড়তি ভাড়া ও খাবারে অতিরিক্ত টাকা নিলে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন ট্যুরিস্ট পুলিশ, কুয়াকাটা জোনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল খালেক।
পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় কমে এসেছে ঢাকা-কুয়াকাটার দূরত্ব। আগে যেখানে ১০-১২ ঘণ্টা সময় লাগতো, সেখানে এখন সময় লাগছে ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা। কুয়াকাটা ভ্রমণে সময় কম লাগায় বেড়েছে পর্যটকের সংখ্যা।